ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের টানা পোড়ান, স্থল পথে পাঠ এবং অন্যান সামগ্রী আমদানি  বন্ধ করেছে ভারত । জানুন বিস্তারিত

0
23

শুক্রবার ভারত বাংলাদেশের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কঠোর  করেছে, ভারত উল্লেখ করেছে সমস্ত স্থলপথ দিয়ে পাট জাত পণ্য এবং কাপড় আমদানি নিষিদ্ধ থাকবে।

চিনের একটি সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনুস ভারত সম্পর্কিত বিতর্কিত মন্তব্যে কারণের ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

বাংলাদেশী পণ্যে স্থল পথে নিষেধাজ্ঞা

পিটিআই জানিয়েছে যে, ডাইরেকটিভ জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড এর নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, কেবল মাত্র মহারাষ্ট্রের nhava Sea পোর্ট দিয়ে ভারত বাংলাদেশ আমদানি করা যাবে।

নিষেধাজ্ঞায় থাকা পণ্য গুলির মধ্যে রয়েছে, পাট জাত পণ্য, শণের আঁশ বা তন্তুর অপচয়, পাট এবং অন্যান্য বাস্ট ফাইবার, পাট, একক শণের সুতা, পাটের একক সুতা, একাধিক ভাঁজ করা, বোনা কাপড় বা ফ্লেক্স, এবং পাটের আনব্লিচড বোনা কাপড়।

এই পণ্য গুলো স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি করা বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশের পণ্য নেপাল ও ভুটান এ রপ্তানি ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

পুনঃরপ্তানি নিষিদ্ধ

ডিজিএফটি আরও বলেছে যে, নেপাল ও ভুটান হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই পণ্যগুলির পুনঃরপ্তানি করা যাবে না।

“ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কোনও স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে, এটি কেবল নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়েই অনুমোদিত,” ডিজিএফটি জানিয়েছে, “বাংলাদেশ থেকে ভারতে কিছু পণ্যের আমদানি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে ”।

উত্তপ্ত সীমান্তবর্তী সম্পর্ক

এই পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করা হয় ইউনুসের সেই মন্তব্যের পর, যা নয়াদিল্লিকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এই মন্তব্যগুলোর ফলে ভারতের সব দলের নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

অর্থনৈতিক প্রভাব

টেক্সটাইল খাতে বাংলাদেশ ভারতের একটি বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০২৩-২৪ সালে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য ছিল ১২.৯ বিলিয়ন ডলার।

২০২৪-২৫ সালে ভারতের রপ্তানি ছিল ১১.৪৬ বিলিয়ন ডলার, যেখানে আমদানি ছিল ২ বিলিয়ন ডলার।

সংবাদ সংস্থার মতে, শুক্রবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পাকিস্তান ও চীনের সাথে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা এবং পূর্ব প্রতিবেশীর সাথে ভারতের টানাপোড়েনের প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here